গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইল বিমান হামলা চালিয়েছে, এতে আরো ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ জুলাই) আনাদোলু নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে, বিশেষ করে জেইতুন, শেজাইয়া ও আল-তুফাহ এলাকায় বিমান হামলা এবং কামানের গোলাবর্ষণ বাড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের মতে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহুত চারটি স্কুলে বিমান হামলা চালিয়েছে- যার মধ্যে তিনটি জেইতুন পাড়ায় ও একটি গাজা শহরের পূর্বে আল-তুফাহ পাড়ায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনী এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত ও আহতের সংখ্যা আরো বেশি। এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় আটকা পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে না পারায় সঠিক সংখ্যা বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দেড় বছরের বেশি সময় ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল। দেশটির অব্যাহত এ হামলায় সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।
জাতিসঙ্ঘের হিসাব মতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসাথে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।
ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনী এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে
গণযোগ/এমএইচ