ফ্লাইওভার না থাকায় স্কুল যেতে হয় বহু পথ ঘুরে। এ জন্য প্রতিদিন সময় নষ্ট হয়। পাশাপাশি দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো রয়েছেই। সেই অভিযোগ তুলেই স্কুল পোশাকে জাতীয় সড়কে নেমে অবস্থান-বিক্ষোভ করল শিক্ষার্থীরা। এই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখানো স্কুল পড়ুয়াদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল — আমাদের ফ্লাইওভার চাই।
সোমবার (২১ জুলই) সকাল আটটা নাগাদ বর্ধমানের মেটাল ডিভিসি এলাকায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে বসে পড়ে বিক্ষোভে সামিল হয় একাধিক গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা। তাদের সঙ্গ দেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। সকলের অভিযোগ, ফ্লাইওভার না থাকায় দুর্ঘটনার ভয়ে জাতীয় সড়ক পারাপার হওয়া যায় না।
এই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখানো স্কুল পড়ুয়াদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল — আমাদের ফ্লাইওভার চাই। পড়ুয়াদের এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে স্থানীয় বাসিন্দারা যোগ দিয়ে বলেন, এলাকায় ফ্লাইওভার না থাকায় প্রতিদিন জাতীয় সড়ক পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয় পড়ুয়াদের। অথচ ওই রাস্তায় প্রায়শই চলে ভারী যানবাহন, ঘটেছে দুর্ঘটনাও। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তাপার হওয়ার বদলে তারা বাধ্য হয়ে তিন কিলোমিটার ঘুরপথে স্কুলে যায়, তাতেই দেরি হয় প্রতিদিন।
এদিনের অবরোধে পার্শ্ববর্তী গ্রামের অন্তত কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়ারা অংশ নেয়। তারা দাবি তোলে, জেলা শাসক যেন নিজে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি দেখেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে এই অবরোধ। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হলে অবরোধ তুলে নেয় পড়ুয়ারা।
তবে তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে — দ্রুত ফ্লাইওভারের ব্যবস্থা না করা হলে আগামী দিনে আরও বড় আন্দোলনে নামবে তারা। এদিকে দীর্ঘক্ষণ অবরোধের কারনে জাতীয় সড়কে সৃষ্টি হওয়া বিশাল যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। সূত্রঃ দ্য ওয়াল
গণযোগ/এমেইচকে