ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২
gonojog24
Bongosoft Ltd.

দুদদকে আমন্ত্রণ জানাই: জয়


গণযোগ | গণযোগ ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৫, ০৯:৪২ এএম আপডেট: জুলাই ১, ২০১৯ ১১:৩৯ এএম দুদদকে আমন্ত্রণ জানাই: জয়
সজীব ওয়াজেদ জয়। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

 

ক্ষমতাচ্যূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও সাবেক তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, দুদক যদি আমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চায়, তাহলে তাদের আমন্ত্রণ জানাই! নিজেকে রক্ষা করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন জয়।

তিনি লিখেছেন, এই অবৈধ সরকার এখন চাপে এবং জনরোষের মুখে পড়ে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তোলার চেষ্টা করছে। আমি ভার্জিনিয়ায় দুটি বাড়ির মালিক নই—একটিই আমার, এবং সেটা আমি ২০১৮ সালে কিনেছি, গত বছর নয়। গত বছর আমার ডিভোর্স চূড়ান্ত হওয়ার পর মালিকানা শুধু আমার নামে করা হয়েছে।

অন্য যে বাড়ির কথা বলা হচ্ছে, সেটিই ছিল আমার আগের বাড়ি—যেটা আমি বিক্রি করে এই বাড়িটি কিনেছি। আমার বাড়িটির মূল্য কেনার পর থেকে প্রায় ১৫ লাখ ডলার বা ১৮ কোটি টাকা বেড়েছে। আমি বর্তমান দামে এটি কিনিনি, অনেক কম দামে কিনেছিলাম। আমি কোনো সরকারি কর্মচারী নই। আমি একজন আইটি উদ্যোক্তা। আমার আয় সম্পূর্ণ বৈধ, আমি এখানে করও দিয়ে বসবাস করি।

 

সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, এফবিআই আমার বিষয়ে এরই মধ্যে তদন্ত করেছে এবং অবৈধ কিছুই খুঁজে পায়নি। সেই কারণেই ইউনুসের সরকার যখন আমার বাংলাদেশি পাসপোর্ট বাতিল করেছিল, তখন আমি দ্রুত মার্কিন নাগরিকত্ব পেয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রে সত্যিকারের আইন ও বিচারব্যবস্থা আছে। দুদক যদি আমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে চায়, তাহলে তাদের আমন্ত্রণ জানাই—এসে পারলে চেষ্টা করে দেখুক! আমার আইনজীবীরা যুক্তরাষ্ট্রে দুদকের মোমেনের বিরুদ্ধে মামলা করতে তৈরি হয়ে আছে।

তিনি আরও দাবি করেন, এই অভিযোগের মূল উদ্দেশ্য হলো আমার ঠিকানা প্রকাশ করে আমাকে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় ফেলা। কিন্তু আমেরিকার বাস্তবতা হলো—এখানে ব্যক্তিগতভাবে অস্ত্র রাখা বৈধ এবং এর গুলিরও কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। তাই এসব হুমকিতে আমি ভীত নই। আমি নিজেকে রক্ষা করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সক্ষম। আর একটা কথা, আমার বাড়ি নম্বর কিন্তু ৩২ নয়।

প্রসঙ্গত, সজীব ওয়াজেদ জয়ের যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় দুটি বাড়ির সন্ধান পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), যা তিনি আয়কর নথিতে গোপন করেছেন। দুদক বলছে, ভার্জিনিয়ার গ্রেট ফলসের পার্কার হাউস ড্রাইভের ১০৪১১ নম্বর এবং ফলস চার্চের বেলমানার কোর্টের ৩৮৪৭ নম্বর বাড়ির মালিক জয়। ২০২৪ সালের ২৭ জুন ও ২০১৪ সালের ৫ মে কেনা বাড়ি দুটির বাজারমূল্য ৫৩ কোটি টাকার বেশি বলে মনে করে দুদক।

এর আগে, দুদকের একটি অনুসন্ধান দল ঠিকানাসহ এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য কমিশনে দাখিল করে এবং পরে তা অনুমোদন হয়। 

দুদকের একটি সূত্র জানায়, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দূতাবাসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে জয়ের বাড়ির বিষয়ে তথ্য পাঠানো হবে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ওই তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ি দুটি জব্দ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য পাঠানোর অনুমতির জন্য আগামী রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বিষয়টি তোলা হবে। 

দুদক জানায়, জয়ের নামে যুক্তরাষ্ট্রে আরও ১৩টি বাড়ি ও একটি শপিংমলের মালিকানার অভিযোগ রয়েছে, যেগুলো তদন্ত চলছে

 

গণযোগ/এমএইচ

Side banner
Side banner
Link copied!