তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের সরাসরি ভোটে, জনগণের প্রতি জবাবদিহিমূলক নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে লাখো শহীদের কাঙ্ক্ষিত একটি ইনসাফভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে শহীদদের প্রতি আমাদের ঋণ পরিশোধের এখনই সময়।
মঙ্গলবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনাসভা এবং শহীদ পরিবারের সম্মাননা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, একটি দেশের জন্য ৫৪ বছর কম সময় নয়। এই দীর্ঘ সময়ে জনগণের ত্যাগ-গৌরব-বিজয় আর নানা উত্থান-পতনের ইতিহাস আমরা ভুলে যেতে চাইনা। তবে অযথা বিতর্ক কিংবা কূটতর্কে লিপ্ত থেকে সময়ের ক্ষেপণের চেয়ে বরং আমরা যারা দেশ এবং জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করি, আমাদের এবারের রাজনীতির প্রধানতম অঙ্গীকার নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির রাজনীতি। বাস্তবায়ন আর দৃষ্টান্ত স্থাপনের রাজনীতি।
তিনি আরও বলেন, ৭১ এর স্বাধীন বাংলাদেশ, ’৭৫-এর ৭ নভেম্বরের আধিপত্যবাদবিরোধী তাঁবেদারমুক্ত বাংলাদেশ, ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী বাংলাদেশ এবং ২০২৪ এর ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি অধ্যায়ে এভাবেই শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ-ওয়াসিমের মতো হাজারো-লাখো মানুষ অকাতরে জীবন দিয়েছেন। হতাহত হয়েছেন।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, মানুষ কি এভাবে জীবন দিতেই থাকবে?
তিনি বলেন, এই মানুষগুলো কিন্তু কানাডায় বেগম পাড়ায় বসবাস, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম কিংবা সুইস ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার দাবিতে আন্দোলন করেনি।
তাদের দাবি ছিল, রাষ্ট্র এবং সমাজে গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা।
গণযোগ/এমএইচ