ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
gonojog24
Bongosoft Ltd.

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় ভারত উদ্বিগ্ন


গণযোগ | গণযোগ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ১২:০৬ এএম আপডেট: জুলাই ১, ২০১৯ ১১:৩৯ এএম আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় ভারত উদ্বিগ্ন
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। ফাইল ছবি


বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় ভারত উদ্বিগ্ন। ভারত মনে করে, কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে যে পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তা অনুসরণ করেনি।

মঙ্গলবার (১৩ মে) নয়া দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

 

জয়সোয়াল বলেন, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ওই দেশে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব হওয়ায় ভারত স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত।


ভারত–পাকিস্তান সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিং কিছু দিন বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তা শুরু হয়। অধিকাংশ প্রশ্ন ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ভারতের মনোভাব জানতে চাওয়া হয়।

জবাবে জয়সোয়াল বলেন, যথাযথ পদ্ধতি না মেনে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ায় ভারত স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত।

 

জয়সোয়াল বলেন, গণতন্ত্রে কাজের একটা পদ্ধতি আছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতি না মেনে। সংগত কারণেই এটি এক উদ্বেগজনক ঘটনা। গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বাভাবিক কারণেই উদ্বিগ্ন। কারণ, এর মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে এবং সেই কারণে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিসর সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।

জয়সোয়াল এই প্রসঙ্গে ভারতের পুরোনো মনোভাব স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আমরা চাই, বাংলাদেশে দ্রুত সুষ্ঠু, অবাধ ও সবার অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।’

 

গত শনিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচারকার্য সসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

 

পরে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সব অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সূত্রঃ প্রথম আলো

 

গণযোগ/এমএইচ

Side banner
Side banner
Link copied!