চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত সাবেক বিডিআর সদস্যদের চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগে অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দুপুর ১২টার মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা না এলে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ‘যমুনা’ ঘেরাও করবেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০০৯ সালের পিলখানা ট্র্যাজেডির পর অনেক নির্দোষ সদস্য চাকরি হারিয়েছেন, কারাবন্দি হয়েছেন বা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সেই বিচারহীনতার বিরুদ্ধে তাঁরা এখন একযোগে প্রতিবাদে নেমেছেন।
সকালে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের পক্ষে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তারা জানায়, সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাদের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুপুর ১২টার দিকে সচিবালয়ে যান।
তবে আন্দোলনকারীরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দাবি পূরণের লিখিত বা আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তাঁরা।’
এর আগে, গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল করে টিএসসি হয়ে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যরা। দুপুর ১টা ১০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তাঁরা। পরে বিকেলে অবস্থান স্থান সরিয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বসে পড়েন।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি:
১. চাকরিতে পুনর্বহাল: বিশেষ আদালত ও সামারি কোর্টের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত (বিশেষ করে ৭৬ ব্যাচ) বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা।
২. স্বাধীন তদন্ত কমিশন: পিলখানা হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করতে শর্তযুক্ত তদন্ত কমিশন বাতিল করে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন কমিশন গঠন, ভুলভাবে দণ্ডিতদের মুক্তি নিশ্চিত করা।
৩. বিডিআর নাম পুনঃস্থাপন ও পুনর্বাসন: ষড়যন্ত্রের শিকার সেনা কর্মকর্তাদের পুনর্বাসন এবং ঐতিহাসিক নাম ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ (বিডিআর) পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
গণযোগ/এমএইচ