আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থানরত প্রায় ৪০০ বাংলাদেশির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার। এঁদের মধ্যে প্রায় এক শ বাংলাদেশি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাত এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী জানান, এরই মধ্যে ইরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনীতিকসহ দূতাবাসের ৪০ জনকে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তেহরানে বাংলাদেশিরা নিরাপদ স্থানে যেতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই এক শ জন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তেহরানের চার শ নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হবে।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব জানান, গত সোমবার রাতে ইরানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা তেহরানে রাষ্ট্রদূতের নির্ধারিত বাসভবন ছেড়ে গেছেন। তিনি এখন নিরাপদে অন্য একটি স্থানে অবস্থান করছেন।
সবমিলিয়ে দুই হাজারের বেশি বাংলাদেশি নাগরিক বর্তমানে ইরানে অবস্থান করছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানে বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত, দুজন কর্মকর্তা, পাঁচজন কর্মচারী এবং তাদের পরিবারসহ প্রায় ৪০ জন রয়েছেন। রেডিও তেহরানে আটজন বাংলাদেশি ও তাদের পরিবারসহ রয়েছেন ২৭ জন। তেহরানে শিক্ষার্থী রয়েছেন প্রায় ১০ থেকে ১২ জন। পেশাজীবী আছেন প্রায় ১০ জন। এছাড়া, ২৮ জন বাংলাদেশির গত ১৩ জুন দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আটকা পড়েছেন। সবমিলিয়ে তেহরানে ৪০০ বাংলাদেশি রয়েছেন।
ইরানের অন্যান্য জায়গায় প্রায় ৬০০ বাংলাদেশি আছেন, তারা ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে সে দেশে বসবাস করছেন। সেখানে বিয়ে করে তারা স্থায়ী হয়েছেন। এর বাইরে আরও প্রায় ৮০০ বাংলাদেশি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে ইরানে অবস্থান করে বিভিন্ন সেক্টরে চাকরিতে নিয়োজিত আছেন। প্রায় ২০০-এর মতো শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছেন।
গণযোগ/এমএইচ