ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
gonojog24
Bongosoft Ltd.

সাংবাদিকতাকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে : প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান


গণযোগ | জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম আপডেট: জুলাই ১, ২০১৯ ১১:৩৯ এএম সাংবাদিকতাকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে : প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান
ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম বলেছেন, সাংবাদিকতার পেশাকে অবশ্যই দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। গণমাধ্যমকে অবশ্যই নিজস্ব মতামত প্রচার-প্রকাশকে বর্জন করতে হবে। এটা থাকলে গণমাধ্যম গ্রহণযোগ্যতা পায় না। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতাকে প্রতিষ্ঠিত করে, মানুষের মনে আস্থা তৈরি করে। এর মধ্য দিয়ে একটি দেশের গণমাধ্যম মানুষের কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়

আজ রোববার দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউস মিলনায়তনে ‘গণমাধ্যমে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ এবং বস্তুনিষ্ঠ পরিবেশন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ কে এম আব্দুল হাকিম এ কথাগুলো বলেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ওবায়েদুল্লাহ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন বরিশাল আঞ্চলিক তথ্য কার্যালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা আফরোজা নাইস।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি এ কে এম আব্দুল হাকিম বলেন, সাংবাদিকদের মর্যাদা নিশ্চিত করা না গেলে গণমাধ্যমকে কার্যত রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভে পরিণত করা যাবে না। এ জন্য স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দরকার। এসব বিবেচনা করেই সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলছে।

প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভুল সংশোধন, দুঃখ প্রকাশ করার সংস্কৃতি আমাদের গণমাধ্যমগুলোকে গড়ে তুলতে হবে। কেবল অভিযুক্ত হলেই কেউ অপরাধী হয়ে যান না, বিচারে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করা যায় না। সাংবাদিকদের অবশ্যই অভিযুক্ত ও অপরাধীর মধ্যে পার্থক্য বোঝা উচিত। মিডিয়া ট্রায়াল বন্ধ করতে হবে এবং আইন-আদালতের প্রতি সম্মান বজায় রাখতে হবে। মানহানিকর বিষয় প্রচারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে, তা না হলে সমাজে অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কোনো সাংবাদিককে সংবাদের সূত্র প্রকাশে বাধ্য করা যাবে না—এটাই একজন সাংবাদিকের অন্যতম সুরক্ষা। তবে তথ্য যেন নির্ভরযোগ্য, সময়োপযোগী ও বস্তুনিষ্ঠ হয়, এটা নিশ্চিত করা জরুরি।'

এ কে এম আব্দুল হাকিম বলেন, ‘দেশের যেখানেই যাচ্ছি, সেখানেই একাধিক প্রেসক্লাব দেখছি। সম্প্রতি সিলেটে গিয়ে জানতে পারি, সেখানে আটটি প্রেসক্লাব রয়েছে। মৌলভীবাজারে সাতটি প্রেসক্লাবের তথ্য পেয়েছি। অথচ প্রেসক্লাব হলো একটি সামাজিক সংগঠন, যেখানে সাংবাদিকেরা মিলিত হবেন, মতবিনিময় করবেন, সহমর্মিতা ও সৌহার্দ্য গড়ে তুলবেন। কিন্তু অতিরিক্ত বিভাজন পেশাদারিকে আঘাত করে। সাংবাদিকদের উচিত পেশার প্রতি মনোযোগী হওয়া এবং নিজ দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করা।’

এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে এ কে এম আব্দুল হাকিম বলেন, অপসাংবাদিকতা বন্ধে সাংবাদিকতা করতে পরীক্ষার মাধ্যমে সনদ প্রদানের জন্য আইন করার ব্যাপারে প্রেস কাউন্সিলে একটি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এ ছাড়া প্রেস কাউন্সিল গণমাধ্যমের কোনো সংবাদে সাংবাদিকতার মান ও নীতির বিষয়ে ব্যত্যয় ঘটলে সে ব্যাপারে যাতে স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই গণমাধ্যম বা সাংবাদিককে জবাবদিহি করতে পারে, সে ক্ষমতাও ওই আইনে থাকবে বলে উল্লেখ করেন।

কর্মশালায় প্রেস কাউন্সিলের সচিব (উপসচিব) আবদুস সবুর রিসোর্সপারসন হিসেবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারে প্রেস কাউন্সিল প্রণীত আচরণবিধি প্রতিপালনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। এতে বরিশালের ৪০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

গণযোগ/এমএইচ

Side banner
Side banner
Link copied!