স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুলৌহাব সাইদানি বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, কূটনীতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তিটি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকটি কেবিনেটে ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। দু’পক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে সুবিধাজনক দ্রুততম সময়ে এটি স্বাক্ষরিত হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশ ছিল আলজেরিয়া। সেজন্য বাংলাদেশ আলজেরিয়ার নিকট কৃতজ্ঞ।
বৈঠকের শুরুতে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আলজেরিয়া বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুপ্রতিম দেশ। আমরা পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করতে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা দু’দেশের মধ্যে একটি ফলপ্রসূ সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই। কেননা, পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এক ধাপ উন্নীত হবে।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তা ইস্যু, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়সহ বিভিন্ন বিষয়ে দু'দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। বিশেষ করে মানবপাচার প্রতিরোধ ও পারস্পরিক আইনি সহায়তা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে।
রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠানোর অনুরোধ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দু’দেশের পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পারস্পরিক সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে।
এক্ষেত্রে উপদেষ্টা নিরাপত্তা ও পুলিশিং সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক উন্নত প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আয়তনে আলজেরিয়া আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশ। দেশটিতে অনেক ভূমি তথা চাষাবাদযোগ্য জমি রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও পৃথিবীর অন্যতম জনবহুল দেশ।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে কৃষকের সংখ্যা অনেক বেশি। দু'দেশ সম্মত হলে বাংলাদেশ আলজেরিয়াতে দক্ষ কৃষি শ্রমিক রপ্তানি করতে পারে।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দু'দেশের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ইস্যু, পুলিশের প্রশিক্ষণ, আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাস দমন, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, অবৈধ অভিবাসন ও মানবপাচার প্রতিরোধ, আলজেরিয়ায় কৃষি শ্রমিক রপ্তানির সম্ভাব্যতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।